Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ জুন ২০১৬

বিদ্যমান জাতীয় সঞ্চয় স্কিমসমূহ

 

বিদ্যমান জাতীয় সঞ্চয় স্কিমসমূহের পরিচিতিঃ

 

(ক) ৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র

প্রবর্তনঃ ১৯৭৭ খ্রিঃ

মেয়াদঃ ৫ বছর।

 

মূল্যমানঃ

১০ টাকা; ৫০ টাকা; ১০০ টাকা; ৫০০ টাকা; ১,০০০ টাকা; ৫,০০০ টাকা; ১০,০০০ টাকা; ২৫,০০০ টাকা; ৫০,০০০ টাকা; ১,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকা।

 

কোথায় পাওয়া যায়ঃ

জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলী ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।

 

মুনাফার হারঃ

মেয়াদান্তে মুনাফা ১১.২৮%। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ৯.৩৫%, ২য় বছরান্তে ৯.৮০%, ৩য় বছরান্তে ১০.২৫% এবং ৪র্থ বছরান্তে ১০.৭৫% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে।

 

যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ

(ক) সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক;

(খ) আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ (অংশ-২) এর বিধি ৪৯-এর উপ-বিধি(২) এ সংজ্ঞায়িত স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল এবং ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫(১৯২৫ এর ১৯নং) অনুযায়ী;

(গ) আয়কর আধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফষিল এর পার্ট এ এর অনুচ্ছেদ ৩৪ অনুযায়ী মৎস্য খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, পেলিটেট পোলট্রি ফিডস উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্দজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ হতে অর্জিত আয়-যা সংশ্লিষ্ট উপ-কমিশনার কর্তৃক প্রত্যায়নকৃত।

(ঘ) নাবালকের পক্ষেও ক্রয় করা যায়।

 

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ

(ক) ব্যক্তির ক্ষেত্রেঃ একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম-নামে৬০ লক্ষ।

(খ) প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেঃ ঊর্ধ্বসীমা নেই।

 

অন্যান্য সুবিধাঃ

• একমেয়াদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা বিদ্যমান;

• নমিনী নিয়োগ করা যায়; ক্রেতা মৃত্যুবরণ করলে নমিনী যে কোন সময় সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করতে পারেন। নমিনী ইচ্ছা করলে মেয়াদপূর্তি করেও সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করতে পারবে;

• সঞ্চয়পত্র হারিয়ে গেলে, চুরি হলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা যায়;

• সঞ্চয়পত্র এক অফিস হতে অন্য অফিসে স্থানান্তর করা যায় (সঞ্চয়পত্র ব্যুরো হতে সঞ্চয় ব্যুরো, ব্যাংক হতে ব্যাংক এবং ডাকঘর হতে ডাকঘর);

• সঞ্চয়পত্র হারিয়ে গেলে, চুরি হলে, পুড়ে গেলে বা কোন কারনে বিনষ্ট হয়ে গেলে ডুপ্লিকেট সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা যায়।

 

-০-


(খ) ৩-মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রঃ

প্রবর্তনঃ ১৯৯৮ খ্রিঃ

 

মূল্যমানঃ

১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকা।

 

কোথায় পাওয়া যায়ঃ

জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলী ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।

 

যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ নিম্নে বর্ণিত যে কেউ এই সার্টিফিকেট ক্রয় করতে পারবেন, যথা-

(১) একজন প্রাপ্তবয়স্ক;

(২) একজন নাবালক;

(৩) দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক তাহাদের যৌথ নামে-

(ক) গ্রাহকদের যৌথভাবে প্রদেয় অথবা যে কোনো একজনের লিখিত সম্মতিতে অন্যজনকে প্রদেয়;

          (খ) যে কোনো একজনকে প্রদেয়।

(৪)      একজন প্রাপ্তবয়স্ক-

          (ক) একজন অপ্রাপ্তবয়স্কের পক্ষে, অথবা

          (খ) যুগ্ম-নামে দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্কের পক্ষে,

          (গ) তিনি স্বয়ং একজন অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যুগ্ম-নামে,

          (ঘ) যথাযথ আদালত কর্তৃক কোনো উন্মাদ ব্যক্তির অভিভাবক বা ম্যানেজার  নিযুক্ত  হইয়া

 

ক্রয় পদ্ধতিঃ

  • নির্ধারিত ফরম (এস.সি-১) যথাযথভাবে পূরণপূর্বক ক্রেতা ও নমিনী (যদি থাকে) প্রত্যেকের ০২ (দুই) কপি ছবি, ক্রেতার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপিসহ আবেদন করতে হবে।
  • চেক অথবা নগদে সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তবে চেকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে চেক নগদায়নের তারিখে সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা হবে;

 

[টীকা।- সঞ্চয়পত্র ক্রয় ফরমে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অন্তর্ভূক্তি এবং কর্তৃপক্ষকে উহা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। ক্রেতা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করিতে অপারগ হইলে সেই ক্ষেত্রে পাসপোর্ট  অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের নম্বর অন্তর্ভূক্তি এবং কর্তৃপক্ষকে উহা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক হইবে ।]

 

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম-নামে ৬০ লক্ষ টাকা।

 

মেয়াদঃ ৩ (তিন) বছর।

 

মুনাফার হারঃ মেয়াদান্তে মুনাফা ১১.০৪%। মেয়াদপূর্তির পূর্বেও নগদায়ন করা যায়। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করিলে টেবিল-১ অনুযায়ী মুনাফা পাওয়া যাবে:

 

টেবিল-১: মুনাফার হার

সময়

মুনাফার হার

প্রতি ১ (এক) লক্ষ টাকায় মূলসহ মুনাফার পরিমাণ

১ম বছরান্তে

১০.০০%

১,১০,০০০.০০

২য় বছরান্তে

১০.৫০%

১,২১,০০০.০০

৩য় বছরান্তে

১১.০৪%

১,৩৩,১২০.০০

 

 

টীকাঃ ১ (এক) লক্ষ টাকায় তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের প্রতি তিন মাস অন্তর মুনাফার কিস্তি সর্বোচ্চ ১১.০৪% হারে টাকা ২,৭৬০.০০ (দুই হাজার সাতশত ষাট) টাকা মাত্র প্রদেয় হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লেভি/মুনাফা কর্তন হবে। কিন্তু যে সকল ক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে বিনিয়োগকৃত টাকা উত্তোলন করা হবে, সে ক্ষেত্রে টেবিল-১ প্রদর্শিত হারে মুনাফা প্রদেয় হবে, এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হয়ে থাকলে তা মূল টাকা হতে কর্তন করে সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করতে হবে।

 

টেবিল-২: অভিহিত মূল্য অনুযায়ী ৩-মাস অন্তর মুনাফার পরিমাণ

 

বিনিয়োগকৃত টাকার পরিমাণ

প্রতি ১ (এক) লক্ষ টাকায় ৩-মাস অন্তর

মুনাফার পরিমাণ (টাকায়)

১,০০,০০০/=

২,৭৬০.০০

২,০০,০০০/=

৫,৫২০.০০

৫,০০,০০০/=

১৩,৮০০.০০

১০,০০,০০০/=

২৭,৬০০.০০

 

 

অন্যান্য সুবিধাঃ

  • এ সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশের যে কেউ ক্রয় করতে পারবে;
  • নমিনী নিয়োগ করা যায়;
  • ক্রেতা মৃত্যুবরণ করলে নমিনী যে কোন সময় সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করতে পারবে। নমিনীর ইচ্ছানুযায়ী মেয়াদপূর্তির পূর্বে বা পরে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করিতে পারিবে;
  • সঞ্চয়পত্র হারিয়ে গেলে, পুড়িয়া গেলে বা নষ্ট হইলে ডুপ্লিকেট সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা যায়;
  • সঞ্চয়পত্র এক অফিস হইতে অন্য অফিসে স্থানান্তর করা যায় (সঞ্চয় ব্যুরো হইতে সঞ্চয় ব্যুরো, ব্যাংক হইতে ব্যাংক এবং ডাকঘর হইতে ডাকঘর);
  • সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের ফটোকপি এবং ক্রেতা ও নমিনী (যদি থাকে) প্রত্যেকের ০২ (দুই) কপি করিয়া পাসপোর্ট সাইজের ছবি দাখিল করিতে হইবে।

 

  •  

(গ) পরিবার সঞ্চয়পত্র

পুনঃপ্রবর্তনঃ ২০০৯ খ্রিঃ

মেয়াদঃ ৫ বছর ।

 

মূল্যমানঃ ১০,০০০ টাকা; ২০,০০০ টাকা; ৫০,০০০ টাকা; ১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকা।

 

কোথায় পাওয়া যায়ঃ জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলী ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।

 

যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ ১৮ (আঠার) ও তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোন বাংলাদেশী মহিলা, যে কোন বাংলাদেশী শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ওমহিলা) এবং ৬৫ (পঁয়ষট্টি) ও তদুর্ধ্ব বয়সের বাংলাদেশী (পুরুষ ও মহিলা) নাগরিক।

 

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫(পঁতাল্লিশ) লক্ষ টাকা।

 

মুনাফার হারঃ ১১.৫২% মেয়াদান্তে। পরিবার সঞ্চয়পত্রের বছরভিত্তিক প্রদেয় মুনাফার হার নিম্নোক্ত ছক-১ অনুযায়ী প্রদেয় হইবেঃ

 

ছক-১: পরিবার সঞ্চয়পত্রের বছরভিত্তিক প্রদেয় মুনাফার হার

 

নগদায়ন কাল

মুনাফার হার

মন্তব্য

১ম বছরান্তে

৯.৫০%

পূর্ণমেয়াদের জন্য ১ (এক) লক্ষ টাকায় প্রতি মাসে মুনাফার কিস্তি সর্বোচ্চ ১১.৫২% হারে টাকা ৯৬০.০০ (নয়শত ষাট) মাত্র প্রদেয় হইবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তন/লেভী কর্তন হইবে। কিন্তু যেক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে বিনিয়োগকৃত টাকা উত্তোলন করা হইবে, সেক্ষেত্রে উপরের ছক-১ (পরিবার সঞ্চয়পত্রে বছরভিত্তিক প্রদেয় মুনাফার হার)-এ প্রদর্শিত বছরভিত্তিক হারে মুনাফা প্রদেয় হইবে এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হইয়া থাকিলে উহা মূল টাকা হইতে কর্তন করিয়া সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করিতে হইবে।

২য় বছরান্তে

১০.০০%

৩য় বছরান্তে

১০.৫০%

৪র্থ বছরান্তে

১১.০০%

৫ম বছরান্তে

১১.৫২%

 

 

(২)      বিভিন্ন মূল্যমানের পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার পরিমাণ নিম্নরুপ হইবে-

 

ছক-১ (ক): বিভিন্ন মূল্যমানের সঞ্চয়পত্রে মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় মুনাফার পরিমাণঃ

 

বিনিয়োগের

পরিমাণ  (টাকায়)

ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রদেয়

মুনাফার পরিমাণ (টাকায়)

মন্তব্য

(ক)     ১০,০০০.০০

৯৬.০০

মাসিক মুনাফা উত্তোলনের পর ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদ শেষে মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পাওয়া যাইবে।

 

(খ)      ২০,০০০.০০

১৯২.০০

(গ)      ৫০,০০০.০০

৪৮০.০০

(ঘ)      ১,০০,০০০.০০

৯৬০.০০

(ঙ)      ২,০০,০০০.০০

১,৯২০.০০

(চ)      ৫,০০,০০০.০০

৪,৮০০.০০

(ছ)      ১০,০০,০০০.০০

৯,৬০০.০০

 

 

(৩)     মেয়াদপূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করিলে গৃহীত মাসিক মুনাফা কর্তনপূর্বক অবশিষ্ট অর্থ ফেরত দেওয়া হইবে। ১ (এক) লক্ষ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করিয়া মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করিলে নিম্নোক্ত ছক-১ (খ) মোতাবেক অর্থ ফেরত পাওয়া যাইবে-

 

ছক-১ (খ): মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে ১ (এক) লক্ষ টাকায় ফেরতযোগ্য টাকার পরিমাণঃ

 

সময়সীমা

মাসিক মুনাফা উঠাইয়া বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত গ্রহণ করিলে প্রাপ্য টাকার পরিমাণ

১ম বৎসর চলাকালীন

১,০০,০০০ - গৃহীত মুনাফা

২য় বৎসর চলাকালীন

১,০৯,৫০০- গৃহীত মুনাফা

৩য় বৎসর চলাকালীন

১,২০,০০০- গৃহীত মুনাফা

৪র্থ বৎসর চলাকালীন

১,৩১,৫০০ - গৃহীত মুনাফা

৫ম বৎসর চলাকালীন

১, ৪৪,০০০ - গৃহীত মুনাফা

 

 

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বিষয়াবলীঃ

  • মাসিকভিত্তিতে মুনাফা প্রদেয়;
  • নমিনী নিয়োগ করা যায়;
  • হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেটসঞ্চয়পত্র ইস্যু করা যায়;
  • সঞ্চয়পত্র এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়;
  • ক্রয়ের সময় ক্রেতার ২ (দুই) কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি, নমিনী থাকলে প্রত্যেকের ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রদান করতে হবে;
  • সঞ্চয়পত্র ব্যাংক ঋণের জন্য জামানত/আমানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না;
  • ব্যবসা-বানিজ্যে সঞ্চয়পত্র জামানত হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না;
  •  

-০-

(ঘ) পেনশনার সঞ্চয়পত্র

প্রবর্তনঃ ২০০৪ খ্রিঃ

মেয়াদঃ ৫ বছর

 

মূল্যমানঃ

৫০,০০০ টাকা; ১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকা

 

কোথায় পাওয়া যায়ঃ

জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলী ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।

 

যারা ক্রয় করতে পারবেঃ

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, আধা- স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী, সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিগণ, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত চাকুরীজিবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী/স্ত্রী/সন্তান।

 

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ

প্রাপ্ত আনুতোষিক ও ভবিষ্য তহবিলের অর্থ মিলিয়ে একক নামে ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা।

 

মুনাফার হারঃ

১১.৭৬% (মেয়াদান্তে)।বছরভিত্তিক মুনাফার হার নিম্নোক্ত ছক মোতাবেক প্রদেয় হইবেঃ

 

ছক-১: পেনশনার সঞ্চয়পত্রের বছরভিত্তিক প্রদেয় মুনাফার হার

নগদায়নকাল

মুনাফার হার

মন্তব্য

১ম বছরান্তে

৯.৭০%

পূর্ণমেয়াদের জন্য ১ (এক) লক্ষ টাকায় প্রতি ৩ (তিন) মাস অন্তর মুনাফার কিস্তি সর্বোচ্চ ১১.৭৬% হারে টাকা ২,৯৪০.০০ (দুই হাজার নয়শত চল্লিশ) মাত্র প্রদেয় হইবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তন/লেভী কর্তন হইবে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে বিনিয়োগকৃত টাকা উত্তোলন করা হইবে, সে ক্ষেত্রে উপরের ছক-১ (পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বছরভিত্তিক প্রদেয় মুনাফার হার)-এ প্রদর্শিত বছরভিত্তিক হারে মুনাফা প্রদেয় হইবে এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হইয়া থাকিলে উহা মূল টাকা হইতে কর্তন করিয়া সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করিতে হইবে।

২য় বছরান্তে

১০.১৫%

৩য় বছরান্তে

১০.৬৫%

৪র্থ  বছরান্তে

১১.২০%

৫ম বছরান্তে

১১.৭৬%

 

 

(২)      বিভিন্ন মূল্যমানের পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার পরিমাণ নিম্নরূপ হইবে-

 

ছক-১ (ক): বিভিন্ন মূল্যমানের পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় মুনাফার পরিমাণঃ

 

বিনিয়োগের

পরিমাণ  (টাকায়)

ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে

প্রদেয় মুনাফার পরিমাণ (টাকায়)

মন্তব্য

(ক)     ৫০,০০০.০০

১,৪৭০.০০

ত্রৈমাসিক মুনাফা উত্তোলনের পর ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদ শেষে মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পাওয়া যাইবে।

 

(খ)      ১,০০,০০০.০০

২,৯৪০.০০

(গ)      ২,০০,০০০.০০

৫,৮৮০.০০

(ঘ)      ৫,০০,০০০.০০

১৪,৭০০.০০

(ঙ)      ১০,০০,০০০.০০

২৯,৪০০.০০

 

 

(৩)     মেয়াদপূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করিলে গৃহীত ত্রৈমাসিক মুনাফা কর্তনপূর্বক অবশিষ্ট অর্থ ফেরত দেওয়া হইবে। ১ (এক) লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করিয়া মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করিলে নিম্নোক্ত ছক-১ (খ) মোতাবেক অর্থ ফেরত পাওয়া যাইবে-

 

ছক-১ (খ): মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে ১ (এক) লক্ষ টাকায় ফেরতযোগ্য টাকার পরিমাণ

 

সময়সীমা

৩-মাস অন্তর মুনাফা উত্তোলন করিয়া বিনিয়োগকৃত

অর্থ ফেরত গ্রহণ করিলে প্রাপ্য টাকা

১ম বৎসর চলাকালীন

১,০০,০০০ - গৃহীত মুনাফা

২য় বৎসর চলাকালীন

১,০৯,৭০০- গৃহীত মুনাফা

৩য় বৎসর চলাকালীন

১,২০,৩০০- গৃহীত মুনাফা

৪র্থ বৎসর চলাকালীন

১,৩১,৯৫০ - গৃহীত মুনাফা

৫ম বৎসর চলাকালীন

১, ৪৪,৮০০ - গৃহীত মুনাফা

 

 

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বিষয়াবলীঃ

  • ত্রৈমাসিকভিত্তিতে মুনাফা প্রদেয়;
  • নমিনী নিয়োগ করা যায়;
  • হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেটসঞ্চয়পত্র ইস্যু করা যায়;
  • সঞ্চয়পত্র এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়;
  • ক্রয়ের সময় ক্রেতার ২ (দুই) কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি, নমিনী থাকলে প্রত্যেকের ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রদান করতে হবে;
  • ভবিষ্য তহবিলের মঞ্জুরীপত্র এবং প্রাপ্ত আনুতোষিকের মঞ্জুরীপত্র অথবা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পি.এস.সি ফরম-২ পুরণ করে ইস্যু অফিসে দাখিল করতে হবে।
  • এ সঞ্চয়পত্র শুধুমাত্র ১ (এক)টি অফিস হতে ক্রয় করা যায়। একাধিক অফিস হতে এ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে অথবা ক্রয়সীমা অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে কোন মুনাফা প্রাপ্য হবেন না।
  • পেনশনার সঞ্চয়পত্র ব্যাংক ঋণের জন্য জামানত/আমানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না;
  • ব্যবসা-বানিজ্যে পেনশনার সঞ্চয়পত্র জামানত হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না;

 

 

-০-

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক

(প্রবর্তনঃ ১৮৭২ খ্রিঃ)

ক) সাধারণ হিসাবঃ

১। মুনাফাঃ     ৭.৫% (সরল হারে)

২। যারা বিনিয়োগ করতে পারবেনঃ (ক) সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক।

(খ) নাবালকের পক্ষেও এ হিসাব খোলা যায়।

 

৩। বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমাঃ    একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা এবং যুগ্ম-নামে সর্বোচ্চ ৬০ লক্ষ টাকা।

 

৪। অন্যান্য সুবিধাঃ (ক) নমিনী নিয়োগ করা যায় / পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়;

(খ) এক মাসেরও মুনাফা প্রদেয়।

         

খ) মেয়াদী হিসাবঃ

১। মুনাফাঃ মেয়াদান্তে (৩ বছর) মুনাফা ১১.২৮%।

তবে ১ (এক) বছর, ২ (দুই) বছর অথবা ৩ (তিন) বছর মেয়াদী হিসাব খোলা যায়। এক্ষেত্রে মুনাফার হার ১ (এক) বছরের জন্য ১০.২০%, ২ (দুই) বছরের জন্য ১০.৭০% এবং ৩ (তিন) বছরের জন্য ১১.২৮%। আমানতকারী ইচ্ছা করলে প্রতি ৬ মাস অন্তর মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১ম বছরে ৯.০০%, ২য় বছরে ৯.৫০% এবং ৩য় বছরে ১০.০০% হারে মুনাফা প্রদেয়।

 

২। যারা বিনিয়োগ করতে পারবেনঃ (ক) সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক।

(খ) নাবালকের পক্ষেও এ হিসাব খোলা যায়।

 

৩। বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাঃ   একক হিসেবে ৩০ লক্ষ টাকা এবং যুগ্ম হিসেবে ৬০ লক্ষ টাকা।

 

৪। অন্যান্য সুবিধাঃ    

(ক) সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক এ প্রকল্পে হিসাব খুলতে পারেন;

(খ) নমিনী নিয়োগ করা যায় / পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়;

(গ) এক মেয়াদের জন্য স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যায়।

 

-০-

ডাক জীবন বীমা

(প্রবর্তনঃ ১৮৭২ খ্রিঃ)

 

ডাক জীবন বীমা সরকার কর্তৃক পরিচালিত।

(১) যারা এ বীমা করতে পারেনঃ  ১৯ থেকে ৫৫ বছর বয়সী সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক।

 

(২)  পলিসির ধরণঃ (ক) জীবন চুক্তি বীমা; (খ) মেয়াদী বীমা;    (গ) শিক্ষা মেয়াদী বীমা; (ঙ)  বিবাহ বীমা; (ঙ) এন্ডোমেন্ট বীমা।

 

(৩) অন্যান্য সুবিধাঃ

(ক) আয়কর রিবেট পাওয়া যায় (খ) প্রিমিয়ামের হার কম বোনাসের পরিমাণ বেশী (গ) ১০০% ঝুঁকির নিরাপত্তা (ঘ) আকস্মিক মৃত্যু ও চির-অক্ষমতার মঙ্গল বিধান চুক্তি (ঙ) ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়া পলিসি।

 

(৩) প্রচলিত বোনাসঃ

বীমার শ্রেণী                   প্রতি হাজারে প্রতি বছরে বোনাস

(ক)     আজীন বীমা                         ৪২.০০ টাকা

(খ)      মেয়াদী বীমা                        ৩৩.০০ টাকা

 

-০-

 

বাংলাদেশ প্রাইজ বন্ড

 

মূল্যমান১০০ টাকা।

 

প্রতি ড্র তে প্রতি সিরিজে পুরস্কার

(ক)          ৬,০০,০০০ টাকার প্রথম পুরস্কার একটি

(খ)          ৩,২৫,০০০ টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার একটি

(গ)                    ১,০০,০০০ টাকার তৃতীয় পুরস্কার দু’টি

(ঘ)                    ৫০,০০০ টাকার চতুর্থ পুরস্কার দু’টি

(ঙ)          ১০,০০০ টাকার পঞ্চম পুরস্কার চল্লিশটি

 

অন্যান্য তথ্যাবলীঃ

(ক) প্রতি তিন মাস অন্তর (৩১ জানুয়ারী, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর) ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়।

(খ) বন্ডে নির্দেশিত বিক্রয় তারিখ হতে নূন্যতম ২ (দুই) মাস অতিক্রমের পর উক্ত বন্ড ‘ড্র’ এর আওতায় আসবে।

(গ) ‘ড্র’ অনুষ্ঠানের নির্ধারিত তারিখ হতে দুই বছরের মধ্যে পুরস্কারের টাকা দাবী করতে হয়।

 

-০-
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড

প্রবর্তণঃ ১৯৮১

মেয়াদঃ ৫ (পাঁচ) বছর

 

বন্ডের মূল্যমানঃ

টাকা ২৫,০০০/-; টাকা ৫০,০০০/-; টাকা ১,০০,০০০/-; টাকা ২,০০,০০০/-; টাকা ৫,০০,০০০/-; টাকা ১০,০০,০০০/; এবং ৫০,০০,০০০/-।

 

মুনাফাঃ

  • মেয়াদান্তে মুনাফা ১২%। বন্ড ধারক ১২% হারে প্রত্যেক বছরে ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলিত না হলে, মেয়াদপূর্তিতে মুল অংকের সাথে ষান্মাসিকভিত্তিতে ১২% চক্রবৃদ্ধি হারে উক্ত মুনাফা প্রদেয় হবে।

 

মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধাঃ

  • একজন ওয়েজ আর্নার প্রাথমিকভাবে ন্যূনতম টাকা ২৫,০০০/- বা ততোধিক মূল্যের বন্ড ক্রয় করলে নির্ধারিত হারে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা পাবে। তবে উক্ত ক্রয় সংশ্লিষ্ট ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পূর্বেই সংঘটিত হতে হবে।
  • ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পূর্বেই যদি বন্ডের মেয়াদপূর্ণ হয়, তা হলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না;
  • বন্ড ধারকের মৃত্যুর ৬-মাসের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা দাবী করতে হবে। এর পর মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার বিপরীতে কোন দাবী গ্রহণযোগ্য হবে না;
  • মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার পরিমাণ টাকা ৫,০০,০০০/- এর অধিক হবে না;
  • ওয়েজ আর্নারের বয়স ৫৫-বছরের অধিক হলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না।

 

সি.আই.পি সুবিধাঃ

  • এ বন্ডে টাকা ৮০ (আশি) মিলিয়ন বা ততোধিক বিনিয়োগকারী সি.আই.পি সুবিধা প্রাপ্য হবেন; তবে নগদায়নের কারণে বিনিয়োগ টাকা ৮০ (আশি) মিলিয়ন-এর নীচে নেমে যায় এবং প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩-মাসের মধ্যে তিনি উক্ত সীমা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তা হলে তিনি সি.আই.পি সুবিধা হতে বঞ্চিত হবেন।

 

কারা ক্রয় করতে পারেঃ

  • বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী ‘ওয়েজ আর্নার[1]' নিজ নামে অথবা; আবেদনপত্রে উল্লিখিত তার মনোনীত ব্যক্তির নামে অথবা প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার বেনিফিসিয়ারী[2]-এর নামে এ বন্ড ক্রয় করা যায়;
  • বিদেশে লিয়েনে কর্মরত বাংলাদেশী সরকারী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ;
  • বিদেশে