মার্কিন ডলার ৫০০; মার্কিন ডলার ১,০০০; মার্কিন ডলার ৫,০০০; মার্কিন ডলার ১০,০০০ এবং মার্কিন ডলার ৫০,০০০।
বন্ড ক্রয়ের যোগ্যতাঃ
অনিবাসী হিসাবধারী (Non-resident account holder) এর নামে বন্ড ইস্যু করা যাবে; যার হিসাবে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়। অথবা
অনিবাসী হিসাবে জমাকৃত রেমিট্যান্স এর বিপরীতে ফরেন কারেন্সী হিসাবের ধারকের (অনিবাসী হিসাব ধারক [1]) নামে বন্ড ইস্যু করা যাবে।
মুনাফাঃ
মেয়াদান্তে মুনাফা ৭.৫০%। বন্ড ধারকগণ ৭.৫০% হারে প্রত্যেক বছরে ষান্মাসিকভিত্তিতে সরল সুদে মুনাফা উত্তোলন করতে পারবে। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে বন্ড নগদায়ন করলে নিম্নবর্ণিত হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে।
নগদায়নের সময়সীমা
প্রদেয় সুদের হার
ইস্যুর তারিখ হতে ১ (এক) বছর পূর্ণ হওয়ার আগে
কোন মুনাফা প্রাপ্য হবে না।
১ (এক) বছর পূর্ণ হওয়ার পরে কিন্তু ২ (দুই) বছরের আগে
৬.৫০%
2 (দুই) বছর পূর্ণ হওয়ার পরে কিন্তু ৩ (তিন) বছরের আগে
৭.০০%
৩ (তিন) বছর পূর্ণ হওয়ার পর
৭.৫০%
মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধাঃ
প্রাথমিক ন্যূনতম বিনিয়োগ ১০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের বন্ড ক্রয় করলে এবং ধারাবাহিকভাবে মৃত্যু পর্যন্ত বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন, তাহলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবেন;
ধারকের মৃত্যুর পূর্বেই যদি বন্ডের মেয়াদপূর্ণ হয়, তাহলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না;
বন্ড ধারকের মৃত্যুর ৩-মাসের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা দাবী করতে হবে। 3-মাস পর মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার বিপরীতে কোন দাবী গ্রহণযোগ্য হবে না;
বন্ডের মেয়াদপুর্তির পূর্বে বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে ক্রয়কৃত বন্ডের ১৫%-২৫% পর্যন্ত মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার এই অংক ২০,০০,০০০/- টাকার অধিক হবে না এবং ক্রেতার বয়স মৃত্যুকালে ৫৫ বছর অতিক্রম করবে না।
মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার দাবী নমিনী বা উত্তরাধীকারীগণ দেশে বাংলাদেশী মুদ্রায় অথবা সমমূল্যে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে প্রদানযোগ্য।
সি.আই.পি সুবিধাঃ
এ বন্ডে টাকা 1 (এক) মিলিয়ন বা তধুর্দ্ধ অংকের মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারী সি.আই.পি সুবিধা প্রাপ্য হবেন; তবে নগদায়নের কারণে বিনিয়োগ ১ (এক) মিলিয়ন ডলার-এর নীচে নেমে যায় এবং প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩-মাসের মধ্যে তিনি উক্ত সীমা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তা হলে তিনি সি.আই.পি সুবিধা হতে বঞ্চিত হবেন।
কোথায় পাওয়া যাবেঃ
বাংলাদেশের সকল তফসিলী ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখা;
বিদেশস্থ বাংলাদেশী ব্যাংকসমূহ ও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকসমূহ;
বিদেশে কার্যরত বাংলাদেশী ব্যাংকসমূহের আওতাধীন এক্সচেঞ্জ কোম্পানীর মাধ্যমে এ বন্ড ক্রয় করা যাবে;
ক্রয় পদ্ধতিঃ
বাংলাদেশের তফসিলী ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এ.ডি) শাখাসমূহে এবং বাংলাদেশী কোন ব্যাংকের বিদেশস্থ শাখা অথবা তাদের আওতাধীন বিদেশে কার্যরত এক্সচেঞ্জ কোম্পানীসমূহে বন্ড ক্রয়ের আবেদনপত্র ডি.পি.বি-১ ফরম পূরণ ও স্বাক্ষর করে বন্ড ক্রয়ের আবেদন করা যায়; যা ইস্যু অফিস হতে বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে;
ইস্যু অফিস ক্রেতা এবং আবেদনপত্রের সাথে যে বৈদেশিক মুদ্রা দাখিল করবেন, তার যথার্থতা সর্ম্পকে নিশ্চিত হবে;
ক্রেতা কর্তৃক পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমাকৃত অর্থ বিকলন করে বন্ড ইস্যু করবে;
মূল্য পরিশোধ পদ্ধতিঃ
বৈদেশিক মুদ্রায় চেক বা ড্রাফট যাহা বৈদেশিক মুদ্রা রেমিট্যান্স এর বিপরীতে ইস্যু হইয়াছে;
অনিবাসী বৈদেশীক মুদ্রা হিসাব-এ আবেদনকারী কর্তৃক জমাকৃত অর্থ দ্বারা;
বিদেশেস্থ ইস্যু অফিস থেকে বন্ড ক্রয় করা হলে সেখান থেকে নগদায়ন করা যায় না।
বিদেশ থেকে বন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে আবেদনপত্রে বাংলাদেশে প্রদানকারী অফিসের নাম উল্লেখ করতে হয়।
নমিনী সংক্রান্তঃ
বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে নমিনী বন্ডের মূল্য, সুদ এবং মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে;
প্রতি সনদের জন্য একজনের অধিক নমিনী প্রদান করা যাবে না;
বন্ড ধারকের মৃত্যুর পূর্বে নমিনীর মৃত্যু হলে, নমিনীর কার্যকারিতা থাকবে না;
নমিনী বাতিল বা পরিবর্তন করা যাবে;
বন্ড ধারকের মৃত্যুর পূর্বেই যদি নমিনীর মৃত্যু ঘটে, তবে মৃত বন্ড ধারকের উত্তরাধিকারীগণ বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে মূল্য ও মুনাফা প্রাপ্য হবেন;
উত্তরাধিকারীগণ শুধুমাত্র মেয়াদপূর্তিতে মূল্য ও মুনাফা গ্রহণ করতে পারবেন;
বন্ড ধারকের মৃত্যুর পর নমিনী অনিবাসী হলে মুনাফা শুধুমাত্র বাংলাদেশী মুদ্রায় এবং আসল বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্য হবে। কিন্তু নমিনী নিবাসী হলে আসল ও মুনাফা উভয়ই বাংলাদেশী মুদ্রায় পরিশোধিত হবে।
অন্যান্য বৈশিষ্টসমূহঃ
বন্ডের আসল অংক পরবর্তী ৩ (তিন) বছরের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগযোগ্য; অথবা আবেদনের প্রেক্ষিতে বন্ড ধারকের এফসি একাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রায় আকলন করা যাবে;
বন্ডে বিনিয়োগকৃত মূল অংক বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে প্রত্যাবাসিত করা যাবে;
ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা প্রদেয়;
বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের সুবিধা রয়েছে;
হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট বন্ড ইস্যুর সুযোগ রয়েছে; সেক্ষেত্রে কেবল থানায় জিডি করে ডুপ্লিকেট বন্ডের জন্য আবেদন করা যাবে; আবেদনের তারিখ হতে পরবর্তী ২ মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট বন্ড ইস্যু করা যাবে;
এ বন্ডে বিনিয়োগের কোন ঊর্ধ্ধসীমা নেই।
বন্ডের বিপরীতে প্রাপ্য আসল অংক ইউ.এস.ডলারে প্রদেয় হবে। তবে বন্ড ধারক বা নমিনীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বন্ডের আসল অর্থ বাংলাদেশী মুদ্রায়ও পরিশোধ করা যাবে। কিন্তু মুনাফা কেবলমাত্র বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রদেয়।
মুনাফা অথবা মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা বা বন্ডের বিপরীতে প্রাপ্য মূল অর্থ বাংলাদেশে এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশী মুদ্রায় আবাসিক প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারীকে প্রদেয় হবে।
এ বন্ডে বিনিয়োগকৃত এবং অর্জিত মুনাফা আয়করমুক্ত;
বন্ডের একটি এককের ক্ষেত্রে একজনের বেশী ধারক ও নমিনীর মনোনয়ন দেয়া যাবে না;
অসুস্থতাজনিত কারনে বন্ড ধারক স্বাক্ষর করতে অপারগ হলে এবং একজন গেজেটেড অফিসার কর্তৃক তার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ প্রত্যয়ন করা হলে প্রদানকারী অফিসার কর্তৃক সরেজমিন যাচাইয়ান্তে , বন্ড উপস্থাপনকারীর পরিচয় ও উপস্থাপিত বন্ডের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বন্ড ধারকের হাতে ছাপ গ্রহন করে মেয়াদপূর্তি মূল্য অথবা সুদ পরিশোধ করবে।
বন্ডের ক্রেতা শরিরীকভাবে পঙ্গু, স্বাক্ষর প্রদানে সম্পূর্ণ অক্ষম হলে এবং এর পক্ষে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদান করা হলে প্রদানকারী অফিসার কর্তৃক যাচাইয়ান্তে, বন্ড উপস্থাপনকারীর পরিচয় ও উপস্থাপিত বন্ডের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে উক্ত বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে মূল্য ও সুদ নমিনী অথবা উত্তরাধিকারীকে পরিশোধ করবে।
বন্ড ধারকের মৃত্যুর পর মেয়াদপূর্তি হওয়া পর্যন্ত বন্ডের অর্জিত সুদ হিসাবায়ন হবে;
বর্তমানে বন্ড ক্রয়ের জন্য পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দুতাবাস হতে সত্যায়ন ছাড়াই প্রবাসী বাংলাদেশীগণ কেবল পাসপোর্টের কপি প্রদান করে এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বিদেশী নাগকিকগণ ‘No Visa Required’ সীল সম্বলিত পাসপোর্টের কপি প্রদান করে এ বন্ড ক্রয় করতে পারবেন।
-০-
[1]‘অনিবাসী হিসাব ধারক (Non-resident account holder)’ বলতে প্রবাসী বাংলাদেশী অথবা বাংলাদেশী বংশোদ্ভত বিদেশী নাগরিক, যার বাংলাদেশে অবস্থিত বৈদেশিক বানিজ্য পরিচালনার অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যাংক শাখায় ‘অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব’ রয়েছে।
[2]ইস্যু অফিস বলতে-বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তফসিলী বাংকের ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ ঐসকল শাখা, যারা ওয়েজ আর্নারদের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব পরিচালনা করে থাকে; বিদেশস্থ বাংলাদেশী ব্যাংকসমূহ ও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকসমূহ এবং বাংলাদেশী কোন ব্যাংকের আওতাধীন বিদেশে কার্যরত এক্সচেঞ্জ কোম্পানীসমূহ।